লাইসেন্স বদলে বড় নিয়ম এলো বাইক এবং গাড়ি চালকদের, জেনে নিয়ে আবেদন করুন এখুনি

বর্তমানে গাড়ি বা বাইক ব্যাবহার সংখ্যা অনেক বেশি । প্রায় প্রতেক ঘরেই বাইক রয়েছে । আর তার চালানোর জন্যে প্রয়োজন হয় লাইসেন্স । ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । মোট টাকা জরিমানা সহ তাদের বিরুদ্ধে নানা শাস্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।

সম্প্রতি এক রিপোট দেখা গিয়েছে অনেকেই মোটর বাইক ব্যাবহার করেন বাণিজ্যিক উদ্যেশ্য । তারা তাদের মোটরবাইক বা গাড়ি ফুড ডেলিভারি থেকে শুরু করে যাত্রী বহন করার মতো কাজে লাগান। এমনকি এই ধরনের কাজে লাগানোই তা দিয়ে ব্যবসা করলেও অধিকাংশ জনই বাণিজ্যিক লাইসেন্স ব্যবহার করেন না। এবার এরই পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের নিয়মে বদল এনেছে। আসলে অনেকেই জানেন না যে ঐ সব কাজ কর্ম করতে গেলে বাণিজ্যিক লাইসেন্স থাকা দরকার । কেও ফুড ডেলেভারী করেন , বা কোন পণ্য , বা কেও যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করেন , তাদের সকলের কাছে বাণিজ্যিক লাইসেন্স থাকা আবশ্যক। রাজ্য পরিবহন দপ্তর এবার এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসার পাশাপাশি সচেতনতার জন্য শিবির খুলেছে এবং সেখানেই বাণিজ্যিক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য সল্টলেকে শিবির খোলা হয়েছে। সেই শিবিরে এই ধরনের বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত মোটরবাইক বা চার চাকা চালকদের যেতে হবে। এখনি যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না হলেও আগামী দিনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। সুতরাং এখন থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং যাদের কাছে বাণিজ্যিক লাইসেন্স নেই তাদের এখনি করিয়ে নেওয়া দরকার ।

তাহলে জেনে নিন কত করে পড়ছে বাণিজ্যিক লাইসেন্স খরচ ?

বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত মোটর বাইক চালকদের আলাদা সিরিজের নম্বর দেওয়া হচ্ছে এবং নম্বর প্লেট হলুদ রংয়ের করা হচ্ছে। নতুন লাইসেন্স করানোর জন্য যে আবেদন করতে হবে তার জন্য খরচ হবে ১০০ টাকা। এর সঙ্গে আবেদন পত্র পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়াও নথিভুক্তিকরণের জন্য লাগছে ৩৪০ টাকা। সাধারণ যে সকল মোটরবাইক রয়েছে সেগুলিকে বাণিজ্যিক মোটর বাইকে রূপান্তরিত করার জন্য খরচ হবে ১০৯০ টাকা। নতুন নম্বর প্লেটের জন্য খরচ ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি যদি 5 জেলার পারমিট নেওয়া হয় তাহলে লাগবে ২০০০ টাকা।

Leave a comment