বর্ষা উত্তরে ঢুকলেও দক্ষিণে কেন তার দেখা নেই ?

ইতিমধ্যেই বর্ষা উত্তরে ঢুকে গেছে , মুষলধারে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত ও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই । আগামী ৫ দিন অতি মাত্রায় পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলীপুর আবহওয়া দপ্তর । কিন্তু পহরে যখন বৃষ্টির ঘনঘটা তখন দক্ষিণবঙ্গে দেখা নেই কেন বৃষ্টির ? প্রাক বর্ষার দু চার ফোটা বৃষ্টি তেই মন ভরতে হচ্ছে দক্ষিণের বাসিন্দাদের । তবে কি আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় এর জন্যে দায়ী ?

মৌসম ভবন বলছেন প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিন ফিরে আসতে জলবায়ু বদল ঘটেছে । এবং বাংলা ও ওড়িশা উপকূল এ নিম্নচাপ ঘনায়নি । বরং আরব সাগরে তান্ডব করছে এই ঘূর্ণিঝড় । এই দুই ধাক্কায় কিছুটা বাংলায় বর্ষা থেমে গেছে । পাহাড়ে ঢুকে গেলেও বঙ্গে এখনও বৃষ্টির দেখা নেই । মাঝে মাঝে খাম খেয়ালী প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হচ্ছে ।

আবহওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন , বিশ্ব উষ্ণায়ন ফলে জলবায়ু এমন বদল ঘটেছে । এমন দাবদহের জন্যে দায়ী যথেচ্ছ দূষণ এবং গাছ কেটে ফেলা নির্বিচারে । ৬ তা ঋতু যেমন উধাও হয়ে গিয়েছে ঋতুচক্র থেকে । এর মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে দু রকম পরিস্থিতি তৈরি হয় । এক হল লা নিন যার জেরে তাপমাত্রা কমে , আর দুই হল এল নিন য ভয়ংকর। এল নিন সমুদ্র পৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় । সাগরে তলদেশ থেকে ঠান্ডা জলের স্রোত উপরে উঠতে পারে না । ফলে পূর্বের ঠান্ডা জলস্রোতের তাপমাত্রা বহুগুণ বেড়ে যায় । সমুদ্র পৃষ্ঠের জলস্তর ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পায় না । আর জলস্তর উষ্ণতা বাড়তে শুরু করলে সংলগ্ন এলাকার বায়ুমণ্ডল তেতে ওঠে । তীব্র তাপ প্রবাহে তৈরি হতে থাকে । সেই তাপ প্রবাহ স্থল ভাগের দেশ গুলি উপর দিয়ে বয়ে যায় । অন্য দিকে বর্ষা কেরলে ঢোকার সময় ঘূর্ণিঝড় “বিপর্যয়” তৈরি হয়েছে । এই ঘূর্ণি ঝড় ও বর্ষা পিছনের জন্যে দায়ী । বজ্র বিদ্যুত সহ ঝড় বৃষ্টি হলেও পিছু ছাড়বে না এখনি হাসফাঁস গরম ।

Leave a comment