৫ই আগস্ট পতন হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে । বাংলাদেশ এখন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে । দায়িত্বে রয়েছে নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনুস। এদিকে ক্ষমতা হারানোর পর এখন ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন আওয়ামী লিগের নেত্রী শেখ হাসিনা। যাইহোক, এই ঘটনার পর থেকে রীতিমতো সবকিছু নিয়ে যেন খেই হারাচ্ছে ভারত।তারই প্রমাণ মিলল মোদী সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তের। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি যে সরকার এমন করবে।
চরম পদক্ষেপ পথে কি মোদী সরকার?
বাংলাদেশ নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল ভারত সরকার। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের নানা ঘটনার পর সে দেশ থেকে ভারতে ইলিশ ঢোকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেকদিন হল । ফলে বেজায় মন খারাপ হয়েছে ইলিশ প্রেমীদের। বিশেষ করে ভরা বর্ষায় ইলিশ না পেয়ে, বেজায় মন খারাপ আপামর বাঙালির। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রফতানিও । বাংলাদেশের মৎস্য উপদেষ্টার সাফ বক্তব্য, আগে বাংলাদেশের মানুষ ইলিশ পাবেন তারপর অন্য কোথাও যাবে । যাইহোক, এবার এই ঘটনার রীতিমতো বদলা নিতে দেখা গেল ভারতকেও । এবার ইলিশের বদলা বিদ্যুতের মাধ্যমে নিতে পারে সরকার বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশকে কি আর বিদ্যুৎ পাঠাবে না ভারত ?
শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক সপ্তাহ পর বিদ্যুৎ-এর চুক্তি নিয়ে সংশোধন করছে ভারত সরকার । ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ পাঠাবে না ভারত ? আসলে ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানি গ্রুপের তরফে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়, এবং যেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শতভাগ বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। আর বর্তমানে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক তাতে তা অবনতি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা দিনকে দিন কমে এসেছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ভারত সরকারের কি সম্পর্ক থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এছাড়াও ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে বিভিন্ন মতবিরোধ তৈরি করেছে , যার মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা। ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যারপন, ইত্যাদি কারণে ভারত সরকার আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী দিনে যাতে ভারতেই বিদ্যুৎ বিক্রি করা যায়, তার জন্য একটি রপ্তানি বিল সংশোধন করেছে। যার মাধ্যমে আগামী দিনে দরকার পড়লে আদানি গ্রুপ ভারতেই তাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এতে করে একদিকে যেমন ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে তেমনি আদানি গ্রুপের তৈরি করা বিদ্যুৎ নষ্ট হবে না।
এছাড়াও আগামী দিনে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক নষ্ট হলে বাংলাদেশ সরকার আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ ক্রয় করার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারে। যাতে করে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। তাই বাংলাদেশ সরকারের কোর্টে যেই বল ছিল, সেই বল ভারত সরকার নিজের কোর্টে নেওয়ার জন্যই এই বিল সংশোধন করেছে। এতে করে আগামী দিনে বাংলাদেশ সরকার এই বিদ্যুৎ ক্রয় না করার ফলে ভারত সরকারের উপরে যেই চাপ সৃষ্টি করতে পারত সেই চাপ সৃষ্টি করতে আর পারবে না।