গত ৭ মে গভীর রাতে পাক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার পর থেকেই এই নিয়ে ধন্দ অনেকের মনে। এই অপারেশনের নামকরণের কারণ জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে ২২ এপ্রিলের নারকীয় ঘটনার সেই রাতে। সেই ২২ এপ্রিল রাত। সারা দেশবাসীর চোখের সামনে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রথম যে ছবিটি ভেসে উঠেছিল, সেখানে কাশ্মীরের সুন্দর উপতক্যার মাঝে বসে সদ্য বিয়ে হওয়া এক নারী। তাঁর পাশেই শায়িত তাঁর স্বামীর মৃতদেহ। বেছে বেছে ধর্ম পরিচয় দেখে সেদিন মারা হয়েছিল পর্যটকদের।ওই নারকীয় ঘটনার শিকার একাধিক পর্যটকের স্ত্রীরা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, তারাও স্বামীর মৃত্যুশয্যার সঙ্গী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জঙ্গিরা তাদের মারতে চাননি। বরং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘মোদীকে গিয়ে বল!’
চোখের সামনে নিজের স্বামীদের মরতে দেখেছিলেন তাঁরা। সেই কষ্ট তাদের মর্মান্তিক শোকের বদলা হিসেবেই ভারতের মধ্যরাতের অপারেশনের নাম রাখা হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। স্বামীদের মেরে স্ত্রীদের বাঁচিয়ে রেখে তাদের চরম দুঃখ ও নৃশংস অভিজ্ঞতার শিকার হতে বাধ্য করা হয়। ভারতীয় সেনা ঠিক এই কথাই জানিয়েছে তাদের এক্স পোস্টে।বুধবার মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুর শেষ হওয়ার পর সেখান থেকে ভারতীয় সেনার এক্স প্রোফাইলে লেখা হয়। Justice is Served Jai Hind! অর্থাৎ (২২ এপ্রিলের ঘটনার) সুবিচার হল এবার। জয় হিন্দু। তার সঙ্গেই একটি ছবি পোস্ট করে ভারতীয় সেনা। সেখানেই লেখা ছিল অপারেশন সিঁদুর।(PTI)
অপারেশন সিঁদুরের বানান Operation Sindoor-এ সিঁদুরের প্রথম ও-টি ছিল আদতে সিঁদুরের কৌটা। হিন্দু ধর্মে স্ত্রীরা বিবাহের পর স্বামীর মঙ্গল কামনায় ও বিবাহের চিহ্নস্বরূপ এই সিঁদুর পরে থাকেন। সেই সিঁদুরই জঙ্গিরা কেড়ে নিয়েছিল ২২ এপ্রিল। তাই তার বদলা আক্রমণের নামও থাকল সিঁদুরের নামেই।