মঙ্গলবার (২৭ অগস্ট) নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’। আর সেই জন্য আগেভাগেই কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচলের উপরে আংশিকভাবে বিধিনিষেধ জারি করা হল। সেদিন ১৮ ঘণ্টা কলকাতার কোন রাস্তায় কী গাড়ি চলবে, সেটার তালিকা দেখে নিন একবার ।মঙ্গলবার ‘নবান্ন অভিযান’-র জন্য আটঘাঁট বেঁধে নামল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ ও । কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ে কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যে । রবিবার রাতের দিকে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে মঙ্গলবার (২৭ অগস্ট) কলকাতার একাধিক রাস্তায় ভোর ৪ টে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। শুধুমাত্র যে সব পণ্যবাহী গাড়ি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার, অক্সিজেন, দুধ, ওষুধ, আনাজপাতি, ফলের মতো বিভিন্ন জরুরি এবং পচনশীল জিনিসপত্র বহন করবে, সেগুলিকে ছাড় দেওয়া হবে বলে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত । কোন কোন রাস্তায় মঙ্গলবার ভোর ৪ টে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি (যেগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেগুলি ব্যতীত) চলতে পারবে না, সেটার তালিকা দেখে নিন।
দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন রাস্তায় বিধিনিষিধ জারি করা হল :
১) বিদ্যাসাগর সেতু এবং র্যাম্প।
২) খিদিরপুর রোড।
৩) তারাতলা রোড।
৪) ডায়মন্ড হারবার রোড।
৫) সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড।
৬) গার্ডেনরিচ রোড।
৭) হাইড রোড।
৮) কোল বার্থ রোড।
৯) রিমাউন্ট রোড।
১০) এই সমস্ত রাস্তার সঙ্গে কলকাতা ডক এবং কলকাতা বন্দরের সংযোগকারী ফিডার রোডেও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচ করতে দেওয়া হবে না।
মধ্য কলকাতা-সংলগ্ন কোন কোন রাস্তায় বিধিনিষেধ থাকছে?
১) জওহরলাল নেহরু রোড।
২) রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ।
৩) রেড রোড।
৪) নিউ রোড।
৫) ডাফরিন রোড।
৬) মেয়ো রোড।
৭) আউটরাম রোড।
৮) খিদিরপুর রোড।
৯) হসপিটাল রোড।
১০) লাভার্স লেন।
১১) কুইন্সওয়ে।
১২) ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ।
১৩) ক্যাথিড্রাল রোড।
১৪) এজেসি বসু রোড।
১৫) এসএন ব্যানার্জি রোড।
১৬) ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট।
১৭) কাউন্সিল হাউস স্ট্রিট।
১৮) কিংসওয়ে।
১৯) সেন্ট জর্জেস গেট রোড।
২০) স্ট্র্যান্ড রোড।
২১) কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট।
২২) কালাকার স্ট্রিট।
২৩) ব্রেবোর্ন রোড।
২৪) হাওড়া ব্রিজ।
প্রয়োজন মতো বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানান হল :
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে প্রয়োজনমতো বিভিন্ন রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি-সহ অন্যান্য গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এবং যে অফিসার দায়িত্বে থাকবেন, তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেদিন সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
গণপরিবহণ সচল রাখতে মরিয়া নবান্ন। এমনিতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’। এর ই মধ্যে জনজীবন যাতে স্বাভাবিক থাকে, সেজন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। ছাত্র সমাজ’-র নবান্ন অভিযানের দিনে যাতে নিত্যযাত্রীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত শিফটে সরকারি বাস, ফেরি সার্ভিস, ট্রাম পরিষেবা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন । বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাবও যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় রাস্তায় থাকে, সেটার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।