৯ অক্টোবর, প্রয়াত হন সকলের প্রিয় শিল্পপতি রতন টাটা। বার্ধক্যজনিত কারণে তার আগের কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। টাটা প্রয়াণে শোকাতুর দেশের শিল্পমহল থেকে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষ ও । দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পুরনো স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁকে নিয়ে। শিল্প জগতের মহীরুহের প্রয়াণের পর থেকেই কৌতূহল ছিল, কী হবে তাঁর বিপুল সম্পত্তির? করা পাবে ? এবার প্রকাশ্যে এল তাঁর উইলের কথা। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রতন টাটা তাঁর উইলে প্রিয় পোষ্য, জার্মান শেফার্ড টিটোর কথা উল্লেখ করেছেন। কী বলা হয়েছে তাতে? জানা গিয়েছে, টিটোর সীমাহীন যত্নের কোনও খামতি যাতে না হয়, সেকথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুধু কী টিটোর কথা? একেবারেই নয় কিন্তু । প্রিয় পোষ্যর সাথে পশু দের জন্যে হাসপাতাল বন্দোবস্ত করে গেলেন তিনি । সেই সঙ্গেই টাটা ভেবেছেন তাঁর দীর্ঘ সময়ের সঙ্গীদের কথা। যাঁরা তাঁর সঙ্গে থেকেছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে কী হবে তাঁদের? সেকথা ভেবে সম্পত্তির ভাগীদার হিসেবে নাম লিখেছেন শেষ বয়সের সঙ্গী, প্রিয় বন্ধু শান্তনু নাইডুর কথা। লিখেছেন পরিচারক, রাঁধুনীদের কথাও।অনুমান প্রাক্তন টাটা সন্স চেয়ারম্যানের সম্পত্তির মূল্য অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা । জানা যাচ্ছে উইলে ভাই জিমি টাটা, সৎ বোন শিরিন ও ডিয়েনার কথাও উল্লেখ করেছেন। পাঁচ-ছয় বছর আগে রতন টাটার সঙ্গী হয় পোষ্য টিটো। রাঁধুনী রাজন এরপর থেকে টিটোর দেখভাল করবেন। অন্যদিকে প্রায় তিন দশকের সঙ্গী, পরিচারক সুব্বিয়ার কথাও বলে গিয়েছেন উইলে। শান্তনু নাইডুর স্টার্টআপ ‘গুডফেলোজ’ থেকে নিজেদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন যেমন, তেমনই শান্তনুর বিদেশে পড়তে যাওয়ার সব খরচ তিনি নিজের অংশ থেকে দিয়েছেন।
টাটা সন্সে রতন টাটার যে শেয়ার ছিল সেখান থেকে তিনি যে অর্থ উপার্জন করতেন, তার বেশিরভাগটাই চ্যারিটেবল ট্রান্সে দান করতেন এই শিল্পপতি। এছাড়া ওলা, পেটিএমের মতো সংস্থায় তাঁর বিনিয়োগ ছিল। তাঁর সংগ্রহে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি ছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য টাটা ন্যানো। যা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল। এছাড়া টাটা নেক্সন, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড রোভার, ক্যাডিল্যাক, শেভ্রলে, হন্ডা সিভিক ইত্যাদি। জীবনে অন্তত ৯ হাজার কোটি টাকা তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামোন্নয়ন ও সামাজিক খাতে দান করেছেন।