হিন্দুদের নিয়ে বিশেষ বার্তা দিতেই মঞ্চে খালেদা জিয়া

মঙ্গলবার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে খালেদা জিয়া , হাসিনা দেশ থেকে চলে যাওয়ার পর । তারপর দেশের বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পটভূমি নিয়ে এই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি । এক ভিডিও বার্তা বিএনপির চেয়ারপার্সন এক ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ গঠনের ডাক দিয়েছেন। বলেছেন যে দেশে ‘সকল ধর্মকে সম্মান করা হবে। ধ্বংস, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ছেড়ে, ভালোবাসা ও শান্তির সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেছেন, “তরুণরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধা, যোগ্যতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় তৈরি হয়েছে বিএনপি-র কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এদিন তার সামনেই একটি সমাবেশ করে বিএনপি। এবং সেখানে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রচার করা হয়।তিনি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সমর্থক ও দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন। বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থামানোর বার্তা দেন খালেদা জিয়া, এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কথা বলেন । তিনি বলেন, “আমাদের একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে সকল ধর্মকে সম্মান করা হবে। তরুণ ও শিক্ষার্থীরা এটা করবে। একটি প্রগতিশীল বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে শান্তি ও সমৃদ্ধি থাকবে। এমন একটি দেশ, যেখানে কোনও প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ নেই।”

খালেদা জিয়া বলেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন দুর্নীতি এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করা গিয়েছে। খালেদা জিয়া বলেন, “এই ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। যারা তাদের জীবন দিয়েছেন,, তাদের আমি আমার প্রণাম জানাই। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমাদের বীর সন্তানদের যারা মরনপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। শতশত শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা তিনি বলেন । তিনি আরো বলেন ঐ বিজয় থেকে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে সকলকে । তরুণ এবং শিক্ষার্থী রা সেটি করবে ।

খালেদা জিয়া একটা দীর্ঘ সময় পর বক্তিটা দিলেন । দীর্ঘ দিন তাকে জেল বন্দী করে রাখা হয়েছিল । এবং তিনি অসুস্থ ছিলেন । তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী তে অংশ নিতে পারবেন না । সেই শর্তে তাকে বাড়ি তে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল । তিনি বিদেশে চিকিত্সা জন্যে যেতে চাইলেও তাকে সেই অনুমতি প্রদান করা হয় নি । কিন্তু হাসিনা সরকারে পতন পর তিনি এই প্রথম জনসমক্ষে বক্তৃতা রাখলেন । এদিন তিনি তাঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমার কারাবন্দী অবস্থায় আপনারা আমার কারামুক্তি ও রোগমুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, দোয়া করেছেন। সেই জন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

Leave a comment