ইতিমধ্যেই চাঁদের পৃষ্ঠ ছুঁয়ে ফেলেছে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তবে আবার চন্দ্র মিশনের মাঝেই ইসরো নামছে সূর্য অভিযানে। সূর্যমিশনের নাম আদিত্য এল-১ Aditya L-1। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে আদিত্য-এল১। কৃত্রিম উপগ্রহটি ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে এসে পৌঁছেছে। এটি পিএসএলভি রকেটের সঙ্গে যুক্ত করা হবে । সূর্য গবেষণার জন্য ভারতের প্রথম মহাকাশযান এবং তা উৎক্ষেপণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে, মহাকাশযানটির নামকরণ হয়েছে হিন্দু দেবতা সূর্যের নামানুসারে। সূর্যের আর এক নাম আদিত্য। জ্বালানি-সহ প্রায় এই কৃত্রিম উপগ্রহের ওজন ১৫০০ কিলোগ্রাম। এতে সাতটি পেলোড রয়েছে বলে খবর ইসরো সূত্রে।ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, সৌরজগতের লুগ্রেঞ্জ পয়েন্ট ১-র চারপাশে যে কক্ষপথ আছে, তাতে পৌঁছাবে মহাকাশযান। যেখান থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার। সেখান থেকে কোনও গ্রহণ বা কোনওরকম বাধা ছাড়াই সর্বক্ষণ সূর্যের উপর ‘নজর’ রাখবে ইসরো। তার ফলে সূর্যে কী কী হচ্ছে এবং মহাকাশের আবহাওয়ার উপর সেইসব বিষয়ের কী প্রভাব পড়ছে, তা সঙ্গে-সঙ্গে বোঝা যাবে। সূর্যের করোনা, সৌর নির্গমন, শিখা করোনাল এই সব কিছু সম্বন্ধে তথ্য অন্বেষণ করবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। ২৪ ঘণ্টাই সূর্যের ছবিও তুলতে পারবে।
আদিত্য-এল১ মিশনের লক্ষ্য কী?
১) সূর্যের উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় (ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা) গতিবিদ্যা নিয়ে গবেষণা।
২) ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা কীভাবে উত্তপ্ত হয়, তা নিয়ে গবেষণা করা হবে। সেইসঙ্গে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আংশিকভাবে আয়োনাইজড প্লাজমার পিছনে কী বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে, তা নিয়েও গবেষণা চালানো হবে আদিত্য-এল১ মিশনে।
৩) বিভিন্ন যে সৌর বিস্ফোরণ ঘটে থাকে, তা কীভাবে পর্যায়ক্রমে হয়, সেটা চিহ্নিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইসরো। অর্থাৎ ওই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হবে।